স্ট্রেস দূর করার ১০টি সহজ উপায় !!



চলতে ফিরতে ঘরে বাইরে সব জায়গায় সারাক্ষণ নানা ধরণের সমস্যার মোকাবেলা করতে হয় আমাদের। আর এসব ঝামেলা থেকে তৈরি হয় স্ট্রেস। যা মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে মারাত্মক বাঁধার সৃষ্টি করে। কয়েকটি উপায় একটু মেনে চললে এই স্ট্রেস কাটিয়ে সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবেন আপনি। জেনে নিন-


স্ট্রেস দূর করার ১০টি সহজ উপায়


মেডিটেশন


প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা মেডিটেশন করুন। এটি আপনার মনকে শান্ত করে পুরো শরীরকে সতেজ করে তুলবে। সেই সাথে চাপমুক্ত থাকতে আপনাকে সহায়তা করবে। মেডিটেশন করা খুব একটা জটিল কিছু নয়। নিরব একটা স্থানে, একটি চেয়ার আরাম করে বসুন, দুই পা মাটিতে রাখুন, চোখ বন্ধ করুন। মনে মনে সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসেছেন এমন চিন্তা করুন। মনে মনে বলতে থাকুন আমি ভালো অনুভব করছি, আমি নিজেকে ভালোবাসি।

গভীরভাবে শ্বাস নিন


৫ মিনিট গভীরভাবে শ্বাস নিন এবং শ্বাস প্রশ্বাসের দিকে মনোযোগ দিন। সোজা হয়ে বসুন, চোখ বন্ধ করুন, হাতদুটো পেটের উপর রাখুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, এমনভাবে শ্বাস নিন যাতে পেট ফুলে উঠে। তারপর ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এভাবে শ্বাস নিলে তা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

নিজের উপস্থিতি বুঝুন


৫ মিনিট সময় নিন, নিজের আচরণগুলোকে ভালোভাবে খেয়াল করুন। যেমন আপনি হাঁটছেন বাতাস আপনার মুখে লাগছে, আপনি কেমন অনুভব করছেন, হাঁটার সময় পায়ের তলায় গরম অনুভব করছেন কিনা তা খেয়াল করুন ,খাবার খাচ্ছেন তার স্বাদ, গন্ধ অনুভব করুন। আপনি যখন আপনার আচরণকে এভাবে খেয়াল করবেন তখন নিজের অজান্তেই নিজেকে চাপমুক্ত অনুভব করবেন।



অন্যের সাথে যোগাযোগ করুন


বর্তমান সময়ে অন্যের সাথে যোগাযোগের ভাল মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল ফোন, ফেসবুক, মেইল ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। অন্যের সাথে কথা বলুন, সামনাসামনি না পারলে ফোনে বলুন, নিজের ভালো মন্দ শেয়ার করুন। দেখবেন কত ভাল লাগছে।

ব্যায়াম করুন


মানুষ যখন অতিরিক্ত স্ট্রেসের মধ্যে থাকে তখন তার কোন কিছুই ভালো লাগে না, ঠিকমতো কোন কাজে মন বসাতে পারে না। এক্ষেত্রে দিনে কিংবা রাতে যেকোন সময় নিজের জন্য বের করে সামান্য দু'একটা হালকা ব্যায়াম করবেন। এ্যারোবিক্স করলে মন ভালো হয়ে যায়। তাই একবার চেস্টা করে দেখতেই পারেন।

জোরে হাসুন


প্রতিদিন অন্তত দশবার জোরে হাসুন। হাসলে মন ভালো থাকে, শরীরে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণের ফলে মানুষ ভাল অনুভব করে। হাসলে শরীরের স্ট্রেস হরমোন কটিসল কমায়, ব্রেইনের এনডরফিন নামক রাসায়নিকের পরিমাণ বাড়ায় যা মুড ঠিক করতে বেশ সাহায্য করে। তাই পছন্দের মুভি দেখুন, গান শুনুন, যারা কার্টুন দেখতে ভালোবাসেন তারা তাই দেখুন। কমিকস পড়তে পারেন বা যা যা খুশি, মোট কথা এমন কাজ করুন যাতে আপনি হাসতে পারেন।



গান শুনুন


হালকা মিউজিক বা গান মুড ভালো করতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই পছন্দের শিল্পীর গান শুনুন। অনেকে শুধু মিউজিক শুনতে ভালোবাসেন, কেউ বা বাশি শুনতে ভালোভাসেন। তাই স্ট্রেস কমাতে গান শুনতে পারেন, তবে মনে রাখবেন তা যেন অন্যের বিরক্তির কারণ না হয়।

হাঁটুন


সারাদিনে কমপক্ষে ২০ মিনিট হাঁটুন। হাঁটলে শরীর-মন দুই ভালো থাকে। তাই ব্যায়াম করলেও পাশাপাশি হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

কৃতজ্ঞ থাকুন


সবকিছুতে কৃতজ্ঞ থাকুন। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে অনেক ভালো রেখেছে, আপনি ভালো আছেন এই ভেবে কৃতজ্ঞ থাকুন। সবসময় নেতিবাচক চিন্তা মনকে ছোট করে ফেলে, এতে স্ট্রেস বাড়ে। তাই ইতিবাচক চিন্তা করুন। নিজেকে ভালবাসুন, অন্যের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন। যখনই মন খারাপ হবে তখনই একবার নিজের সমস্যা নিয়ে একবার হলেও ভাবুন আসলে কি হয়েছে।

অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করুন


দূরে বা কাছের মানুষ, পরিচিত বা অপরিচিত সবার সাথে ভালো ব্যবহার করুন। অন্যের সাথে খারাপ ব্যবহার করলে দিন শেষে তাই আপনার স্ট্রেসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে কেননা আপনি মানুষ, আবেগ অনুভূতি আপনারও আছে। তাই কারণে অকারণে খারাপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।



তাহমিনা তাসির


0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post