ব্যাথা ও ফ্যাটের সাথে লড়বে ৭ খাবার


বিভিন্ন ফল বা সবজি কিংবা গ্রিন টি'র মতো পানীয়ও শরীরের অনাকাঙ্খিত ফ্যাটের সাথে লড়াই করে আপনার শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করতে পারে। সেইসাথে, শরীরের নানা ধরনের ব্যাথা দূর করতেও কাজে দেয় এই খাবারগুলি। 



ব্যাথা ও ফ্যাটের সাথে লড়বে ৭ খাবার

  
ফল ও সবজি

ষড়ঋতুর এই দেশে ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে পাওয়া যায় ভিন্ন ভিন্ন ফল ও সবজি। এসব ফল ও সবজির বেশিরভাগই উচ্চমাত্রার পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ, সেইসাথে আশযুক্ত হওয়ায় এসব খাবার শরীরের ক্রনিক ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। সাহাজ্য করে মেদভূড়ির কমাতে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আপেল, আঙ্গুর, ব্রকলি, মাশরুম, পেপে, আনারস এবং পালংশাকের মতো ফল ও সবজি রাখুন। এসব খাবার ব্যাথা কমাতেও সাহায্য করে।
  
গ্রিন টি

চায়ের মতো কোমলপানীয় যে কত উপকারী তা বলে শেষ করা যাবে না। বিশেষ করে গ্রিন টির কথা। গ্রিন টি যেকোন ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে,পাশাপাশি ত্বককে রাখে সতেজ। এটি নিয়মিত পানে ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। এছাড়া, শরীরের ফ্যাটের বিরুদ্ধে বেশ ভালোভাবে কাজ করে এটি। ফলে স্লিম রাখতেও এই চায়ের ভূমিকা অনেক।

ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড
  
গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চমাত্রার ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড এবং নিম্ন মাত্রার ওমেগা সিক্স ফ্যাটি এসিড শরীরে ব্যাথানাক হিসেবে বেশ ভালো কাজ কাজ করে। তাই ওমেগা-থ্রি জাতীয় খাবার যেমন মাছ, মাছের তেল, বাদাম এসব খাবার নিয়মিত খাওয়া ভালো।



মশলা

আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ মশলাযুক্ত খাবার বেশি পছন্দ করেন। আদা, রসুন, হলুদ এলাচ, মরিচ এসব ছাড়া যেন রান্নাই সম্পূর্ণ হয় না। এসব মশলাযুক্ত খাবার শুধু যে মুখরোচক তাই নয়, এসব খাবার প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে। তাই পরিমাণ মতো মশলাযুক্ত খাবার খান, সুস্থ থাকুন।
  
পানি

বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া বেঁচে থাকার কথা আমরা চিন্তাই করতে পারিনা। পানি শূণ্যতার কারণে শরীরে নানা রকম রোগ বালাই বাসা বাধে। তাই প্রতিদিন ৩ লিটার করে পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। আর প্রতি ৩০ মিনিট পর পর এক গ্লাস পানি খান।

শষ্যদানা

যেকোন শষ্যদানা সমৃদ্ধ খাবারে উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকে। শষ্যদানা শরীরের ইনসুলিনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। উচ্চমাত্রার বিভিটামিন সমৃদ্ধ শষ্যদানার খাবার তাই নিয়মিত খাওয়া ভালো।
  
সম্পূরক ফ্যাট

হার্টের জন্য উপকারী ফ্যাট যেসব খাবারে আছে যেমন অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল এবং এভোকাডোর মতো খাবার প্রতিদিন খান। এসব খাবার শরীরের কলেস্টেরোল নিয়ন্ত্রণে রাখে।



তাহমিনা তাসির

0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post