এক্সারসাইজ করে অনেকটাই বাগে এনে ফেলেছেন শরীরটা। কিন্তু পেটের মেদ নিয়ে
দুশ্চিন্তা কমছে না। কিছুটা ফ্যাট পেটে রয়েই যাচ্ছে। এই দুশ্চিন্তা কমাতে থাকছে আটটি
সুপার ফুডের টিপস।
পেটের মেদ কমাবে আট সুপার ফুড
গ্রিন টি
বারে বারে বলেও এই অসাধারণ পানীয়র উপকারিতা বলা শেষ হবে না। দেহের, বিশেষ
করে পেটের জমাটবদ্ধ মেদ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে এর ভেতরে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড নামে প্রাকৃতিক
একটি উপাদান। পান করুন খাবার পনেরো মিনিট পর।
রসুন
প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে পরিচিত রসুন রক্তে শর্করা এবং ইনসুলিনের
মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যাতে, শরীরে তৈরি হয় মেদ পোড়ানোর জ্বালানি। এতে আছে থার্মোজেনিক
নামে এমন এক উপাদান যা হজমে সহায়ক। তাই পেটের মেদ যে কমবে তা বলাই বাহুল্য। সকালের
নাস্তার আগে খালি পেটে খেয়ে ফেলুন কুচি করে কাটা রসুন।
দারুচিনি
আধা টেবিল চামচ দারুচিনি গুড়া, গরম পানিতে মিশিয়ে ফেলুন, পাঁচ মিনিট রাখার
পর, পানি ঈষোদোষ্ণ হয়ে এলে এতে মেলান এক টেবিল চামচ মধু। পান করুন নাস্তার আগে ও রাতের
খাবারের এক ঘণ্টা পর। একমাস পর, মেপে দেখুন তো কোমরের মাপ এক্সএল থেকে লার্জে নেমেছে
কিনা?
পুদিনা
এক টেবিল চামচ মধু, এক চিমটি গোল মরিচ এবং কিছু পুদিনা পাতা কুচি মিশিয়ে
নিন গরম পানিতে। ছেঁকে ফেলুন, আর পান করুন সমান পেটের অব্যর্থ এই দাওয়াই। পুদিনা সাহায্য
করে হজমে আর গোল মরিচ ও মধু মেদ কাটাতে। ফলাফল নিশ্চয় বলতে হবে না।
আপেল
অনেক ভিটামিন ও পটাশিয়ামে ঠাসা একটি আপেল, পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে
দীর্ঘ সময়। সকালের নাস্তায় একটি আপেল সাহায্য করবে দীর্ঘক্ষন পেট ভর্তি রাখতে। খেতে
হবে না অন্য কিছু। অন্তত একটি আপেল রোজ ব্যাগে বহন করতে চেষ্টা করুন।
তরমুজ
পুরো ফলটির ৮২ ভাগই পানি। যা অন্য খাবারের প্রতি আবেদন কমাতে সাহায্য করে।
আরো আছে ভিটামিন সি। মিড ডে স্ন্যাক্স হিসেবে অন্য কিছুর বদলে তাই তরমুজের বিকল্প নেই।
এর পানির ভাগ মেদ কমাতে সাহায্য করে।
কলা
অবাক হচ্ছেন? আপেলের মতোই আরো একটি পটাশিয়াম ও মাল্টিভিটামিনে ভরপুর ফল
কলা। যা পেটের মেদ কমাতে যথেষ্ঠ ভূমিকা রাখে। এটি খাবার পর, ফাস্ট ফুড খাওয়ার আগ্রহটাও
কমে যায়।
ওমেগা-থ্রি
ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড আছে এধরনের যে কোনো খাবার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য
করে। কাঠ বাদাম বা স্যামনসহ যে কোন মাছই ওমেগা-থ্রি সম্পন্ন। এগুলো প্রতিদিনের খাবারের
তালিকায় সামান্য হলেও রাখতে চেষ্টা করুন।
ইশরাত জাহান স্টেলা
Post a Comment