ডায়েট নিয়ে চর্চা করতে গিয়ে কিছু
সাধারণ ভুল করে ফেলেন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ। যে ভুলগুলো শুরু হয় দিনের সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ খাবার অর্থাৎ নাস্তা দিয়ে। ফলে, দিনের শুরুতেই বেসামাল হয়ে পড়ে ক্যালরির পরিমাণ। যা নিয়ে
রীতিমতে গবেষণা করেছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের পুষ্টিবিদেরা। ব্রেকফাস্ট মিসটেকস
নিয়ে ভারতীয় পুষ্টিবিদ আকাঙ্খা ঝালানি’র সর্বশেষ
গবেষণালব্ধ ফলাফল তুলে ধরা হলো। জেনে নিন-
সকালের নাস্তায় যে ৯টি ভুল কখনোই নয়
ফলের রস? মোটেও না
রস বা জুস করে নয়, বরং আস্ত ফল খেতে হবে সকালের নাস্তায়। রস করতেই নষ্ট হয়ে যায় ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার। নাস্তায় একটি আস্ত ফল ও এর সাথে যোগ
করুন বড় এক গ্লাস পানি।
পাখির পরিমানে নাস্তা কখনোই নয়
যদি
ডায়বেটিস,
হৃদরোগ বা অতিরিক্ত ওজনের বোঝা না বইতে চান তবে, পর্যাপ্ত পরিমানে নাস্তা করুন। সুষম খাবারের সমন্বয়ে
প্রস্তুত করুন নাস্তার মেন্যু।
লোভনীয় খাবার! বিপদ আসন্ন
নাস্তায়
মজাদার কাপকেক বা লোভনীয় ডোনাটের মতো খাবার যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। নিতান্তই যদি
সামনে চলে আসে এমন কোন খাদ্য, তবে, লম্বা শ্বাস নিন, আর অুনধাবন করুন সুস্বাস্থ্যর প্রয়োজনীয়তা। ব্যস্, মজার কাপকেকটি বাদ দেয়ার দুঃখটা কিন্তু আর থাকবে না।
চা-কফি চলুক, কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণে
ভোরবেলা এক কাপ ধুমায়িত চা বা
কফি আপনার মুডকে চাঙ্গা করবে ঠিকই। তবে, সকাল সকাল চার পাঁচ কাপ চা-কফি খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। দিনজুড়ে ভাগ কোরে নিন গরম
পানীয়র পরিমাণ।
অস্বাস্থ্যকর নাস্তা করবেন তো
পস্তাবেন
এর অর্থ হলো, সকালে ডুবো তেলে
ভাজা পরোটা বা মেয়োনিজ দিয়ে বানানো স্যান্ডউইচ এর বদলে বাদাম, তাজা ফল বা ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল রাখুন নাস্তার তালিকায়।
নাস্তা না করলেও চলে, বাদ দিন এমন চিন্তা
আগের রাতে যতোই ভরপেট খাওয়া হোক বা
দিনের শুরুতে থাকুক হাজারো ব্যস্ততা থাকুক, নাস্তা কিন্তু বাদ দেয়া চলবে না। একবাটি চিনিবিহীন কর্নফ্লেক্স বা সালাদ দিয়ে
হলেও সেরে ফেলুন সকালের খাবার।
বুফে নাস্তা, সেখানেও বিপদ?
বিপদ আছে, কারণ বুফে টেবিলের সামনে গেলেই মানুষ
প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলে। এছাড়াও, খাওয়া হয়ে যায় চর্বিযুক্ত খাবারও। তাই, সকালে বেলায় বুফে নাস্তা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। নিতান্তুই খেতে হলে, বুফে থেকে বেছে নিন সেদ্ধ ডিম, ওটস, বাদামী রুটি বা
দুধ।
শুরুতেই ভারী খাবার নয়
সকালের
খাবারের শুরুতে পান করুন মধু মেশানো হাল্কা গরম পানি। হালকা গরম গ্রিন টিও চলতে
পারে। শুরুতেই ভারী খাবারের বদলে এ ধরনের পানীয় হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য
করবে।
সুষম খাদ্য থাকুক পর্যাপ্ত পরিমানে
নাস্তায় প্রতিদিন থাকুক গ্রিন টি, লেবুর টুকরো, কলা এবং টক দই দিয়ে ওটস, মুরগীর স্টু, ডিম সেদ্ধ, মুগ ডাল আর বাদামী রুটি। একটু একটু করে কমে যাক মাংসের ঝোল
বা তেলে ভাজা পরোটা।
ইশরাত জাহান স্টেলা
Post a Comment