শুধু যে ঘর থেকে বের হয়েই আমাদের
নানা ঝামেলায় পড়তে হয় তা নয়, ঘরের ভেতরও নানা
স্ট্রেস এর মধ্যে পড়তে হয় আমাদের। কিন্তু তাই বলে স্ট্রেসকে পাশ কাটানো যাবে না তা
কিন্তু নয়। স্ট্রেসকে ঠিকঠাক মতো ম্যানেজ করতে পারলে আপনার জীবনযাপন একদম পাল্টে
যাবে। আর এই স্ট্রেস কাটাতে অনেক ধরনের পদ্ধতি থাকলেও গান কিন্তু সবচেয়ে কার্যকর।
গান শোনা,
গাওয়া, লিখা মোট কথা গানের
পঙতি আওরানো স্ট্রেস কাটানোর সবচেয়ে সহজ একটি পদ্ধতি।
স্ট্রেস কি যাবে গানে?
আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই ঘুম
থেকে উঠেই চিৎকার চেচামেচি করে, পরিবারের সদস্যদের
সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এটা একদম ঠিক নয়। ঘুম থেকে জেগে গুনগুনিয়ে গান করুন।
বিষয়টা এমন গানের মধ্য দিয়ে শুরু হোক আপনার দিন। আপনার এ্যালার্ম ক্লক বা মোবাইলের
রিংটোন হিসেবে সুন্দর কোনো গান রাখতে পারেন। তাহলেও কাজ হবে।
আপনার যদি মনে হয় গান শোনার থেকে
বেশি কার্যকর হবে গান গাইলে তাহলে তাই করুন। গান গান গুনগুনিয়ে বা জোরে। দেখুন
স্ট্রেস আপনাকে ছেড়ে পালাবেই। তবে গান গাইতে গাইতে অবশ্যই আপনার পরিবেশ
পারিপার্শ্বিকতা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। গান গাওয়ার ফলে আমাদের মস্তিষ্কে এমন
এক ধরনের কম্পন হয় যা শরীরের প্রতিটি কোষে পৌছে যায়। এতে আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাস
স্বাভাবিক থাকে, আমরা সুস্থ বোধ করি; মোট কথা রিলাক্স থাকি।
অনেকেই বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গান গাইতে
পারেন। স্ট্রেস থেকে মুক্ত থাকতে বাসায় কোনো বাদ্যযন্ত্র থাকলে তা বাজাতে বাজাতে
গান গাইতে পারেন। অথবা শুধুই বাজাতে পারেন। অনেকে টেবিল চেয়ার বা অন্য কিছুতেও
সুন্দর করে সুর তুলতে পারে। বাদ্যযন্ত্র বাজালে মুড ভালো থাকে, পাশাপাশি নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা থেকে বেশ দূরে থাকা যায়।
ঘুম থেকে জেগে উঠা থেকে শুরু করে
মনিং ওয়ার্ক, ইয়োগা, ব্যায়াম, নাস্তার টেবিল, গাড়িতে, অফিসে- সবজায়গায়
গানকে সঙ্গী করে তুলুন। প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় থ্রি-এম কে সাথে নিন, অর্থাৎ মিউজিক, মুভমেন্ট আর মেডিটেশন। দেখুন স্ট্রেস বা একঘেয়েমী কেটে যাবে অনায়াসে।
কাজের জায়গাটা এমনিতেই একটু স্ট্রেসফুল।
তার উপর ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিত্বের মানুষের সাথে কাজ করতে হয়। একেতো কাজ তার উপর
বিভিন্ন ধরণের মানুষ, অফিস পলিটিক্স সব
কিছু মিলিয়ে প্রতিদিনই বেশ স্ট্রেস এর মধ্যে থাকতে হয় কর্মজীবিদের। অফিস স্ট্রেস
কমাতে তাই কাজ করুন আর গান শুনুন, চাইলে গুনগুন করে গাইতেও
পারেন। তবে খেয়াল রাখুন তাতে কাজের পরিবেশের কোনো ক্ষতি যাতে না হয়।
তাহমিনা তাসির
Post a Comment