বিজ্ঞান
আমাদের সবকিছু যৌক্তিকভাবে চিন্তা করতে শিখিয়েছে ঠিকই কিন্তু আমাদের পৃথিবীতেই
এখনো এতো এতো রহস্য রয়ে গেছে যার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আজো খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিশ্বের আজব কিছু স্থান নিয়ে থাকছে এই পর্ব। বিশ্বের আজব কিছু স্থান যা আপাতদৃষ্টিতে সব যুক্তিকে উপেক্ষা করে, যার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে
পারেনি বিজ্ঞান।
বিশ্বের আজব কিছু স্থান নিয়ে দেখুন বাংলা তথ্যচিত্র-
বাংলায় দুর্দান্ত সব ভিডিও দেখতে আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন- Funny Frog Creatives
বিশ্বের আজব কিছু স্থান যা না দেখলে বিশ্বাস করবেন না !!
শয়তানের
কেতলি
যুক্তরাষ্ট্রের
মিনেসোটায় লেক সুপিরিয়রের কোল ঘেষেই তৈরি হয়েছে একটি স্টেট পার্ক। আর এই পার্কের
প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে শয়তানের কেতলী নামে পরিচিত এই জলপ্রপাতটি।
অদ্ভুতভাবে এই প্রপাতটি সমান দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে। এর একটি সাধারণ প্রপাতের মতো বয়ে চলেছে কিন্তু বাকি অর্ধেক আক্ষরিক অর্থেই হারিয়ে গেছে পাহাড়ের অভ্যন্তরে। অনেকের ধারনা এই পানি কোনো পাতাল নদীতে পড়েছে। কিন্তু এই পাতাল নদীটি কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে তা এখনো বের করা সম্ভব হয়নি। বিজ্ঞানীরা নানাভাবে চেষ্টা করেছেন কিন্তু প্রতিবারই তাদের নিরাশ হতে হয়েছে।
শয়তানের কেতলি। Photo: wikipedia.org |
অদ্ভুতভাবে এই প্রপাতটি সমান দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে। এর একটি সাধারণ প্রপাতের মতো বয়ে চলেছে কিন্তু বাকি অর্ধেক আক্ষরিক অর্থেই হারিয়ে গেছে পাহাড়ের অভ্যন্তরে। অনেকের ধারনা এই পানি কোনো পাতাল নদীতে পড়েছে। কিন্তু এই পাতাল নদীটি কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে তা এখনো বের করা সম্ভব হয়নি। বিজ্ঞানীরা নানাভাবে চেষ্টা করেছেন কিন্তু প্রতিবারই তাদের নিরাশ হতে হয়েছে।
নীল
লাভা
না এই
ছবিটি কোনো সায়েন্স ফিকশন মুভির কল্পিত দৃশ্য নয়। ইন্দোনেশিয়ার একটি সালফার খনিতে
দেখতে পাওয়া যায় এই অদ্ভুত দৃশ্য।
একটি আগ্নেয়গিরির পাদদেশে নির্মিত এই খনি থেকে রাতের বেলা নীল নিয়নের মতো জ্বলতে থাকা কোনো পদার্থ বের হয়ে আসে যা দেখে মনে হয়,নীল লাভার নদী। মূলত খনিতে আটকে পড়া সালফার গ্যাস আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ দিয়ে বের হয়ে আসার সময় জ্বলন্ত নীল তরলে পরিণত হয় এই গ্যাস।
নীল লাভা। Photo: wikipedia.org |
একটি আগ্নেয়গিরির পাদদেশে নির্মিত এই খনি থেকে রাতের বেলা নীল নিয়নের মতো জ্বলতে থাকা কোনো পদার্থ বের হয়ে আসে যা দেখে মনে হয়,নীল লাভার নদী। মূলত খনিতে আটকে পড়া সালফার গ্যাস আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ দিয়ে বের হয়ে আসার সময় জ্বলন্ত নীল তরলে পরিণত হয় এই গ্যাস।
লেক
কারাচে
বিশ্বাস
করুন আর নাই করুন এই লেকের পাশে শুধুমাত্র ঘন্টাখানেক দাড়িয়ে থাকলেই আপনার মৃত্যু
নিশ্চিত। আর আপনার পরিচিত কোনো কারণ নয়, আপনার মৃত্যু ঘটাবে পারমাণবিক
তেজস্ক্রিয়তা।
এটি লেক করাচি, উত্তর রাশিয়ার উরাল পর্বতমালার মাঝে অবস্থিত এই লেকটি। স্নায়ুযুদ্ধের সময় এখানে একটি পরমাণু অস্ত্র তৈরির কারখানা তৈরি করেছিলো রাশিয়া। ১৯৫৭ সালে এই কারখানার একটি পরামাণবিক বর্জ্যের গুদাম বিস্ফোরিত হলে মারাত্মক তেজস্ত্রিয় পদার্থ লেক কারাচেসহ বিশাল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আর এ ঘটনায় লেকটি ঢেকে ফেলা হয় কংক্রিট দিয়ে। কিন্তু তারপরও এই লেকটি এতটাই তেজস্ত্রিয় যে, কোনো প্রাণী দীর্ঘক্ষণ এই লেকের পাড়ে দাড়িয়ে থাকলে মৃত্যু অবধারিত।
লেক কারাচে। Photo: earthtripper.com |
এটি লেক করাচি, উত্তর রাশিয়ার উরাল পর্বতমালার মাঝে অবস্থিত এই লেকটি। স্নায়ুযুদ্ধের সময় এখানে একটি পরমাণু অস্ত্র তৈরির কারখানা তৈরি করেছিলো রাশিয়া। ১৯৫৭ সালে এই কারখানার একটি পরামাণবিক বর্জ্যের গুদাম বিস্ফোরিত হলে মারাত্মক তেজস্ত্রিয় পদার্থ লেক কারাচেসহ বিশাল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আর এ ঘটনায় লেকটি ঢেকে ফেলা হয় কংক্রিট দিয়ে। কিন্তু তারপরও এই লেকটি এতটাই তেজস্ত্রিয় যে, কোনো প্রাণী দীর্ঘক্ষণ এই লেকের পাড়ে দাড়িয়ে থাকলে মৃত্যু অবধারিত।
পাথুরে
জল
ইংল্যান্ডের
উত্তর ইয়োর্কশায়ারে নীদ নদীর তীরে এই গুহাটি প্রকৃতির একটি আশ্চর্য খেয়াল। মাথার
খুলির মতো দেখতে এই গুহার গা বেয়ে ঝরনার মতো পানি নির্গত হয়। আর এই পানির যে
অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে তা নিয়ে নেই সন্দেহের অবকাশ।
অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবিকই যে কোনো বস্তু এই পানির সংস্পর্শে আসলে তা পাথরে পরিণত হয়। আর এই পাথরে পরিণত হওয়ার প্রকৃয়াটিও ঘটে খুব দ্রুত। বিজ্ঞানীদের মতে, এই পানিতে উচ্চমাত্রার খনিজ রয়েছে। এ কারণে প্রাকৃতিকভাবে স্টেলেকটাইট যেভাবে তৈরি হয় অনেকটা সেভাবেই কাজ করে এই প্রকৃয়া। কিন্তু স্টেলেকটাইট তৈরি হতে যেখানে শতশত বছর সময় লাগে, এই পানিতে বস্তু পাথরে পরিণত হতে সময় নেয় সপ্তাহ থেকে মাসখানেক, যা বিজ্ঞানীদের কাছে আজো এক রহস্য।
পাথুরে জল। Photo: commons.wikimedia.org |
অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবিকই যে কোনো বস্তু এই পানির সংস্পর্শে আসলে তা পাথরে পরিণত হয়। আর এই পাথরে পরিণত হওয়ার প্রকৃয়াটিও ঘটে খুব দ্রুত। বিজ্ঞানীদের মতে, এই পানিতে উচ্চমাত্রার খনিজ রয়েছে। এ কারণে প্রাকৃতিকভাবে স্টেলেকটাইট যেভাবে তৈরি হয় অনেকটা সেভাবেই কাজ করে এই প্রকৃয়া। কিন্তু স্টেলেকটাইট তৈরি হতে যেখানে শতশত বছর সময় লাগে, এই পানিতে বস্তু পাথরে পরিণত হতে সময় নেয় সপ্তাহ থেকে মাসখানেক, যা বিজ্ঞানীদের কাছে আজো এক রহস্য।
চীর
বজ্রপাতের দেশ
বজ্র-বিদ্যুতে
যদি ভয় পান তবে ভেনিজুয়েলার উত্তরাঞ্চলের কটাটুম্বো নদী অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন। কারণ
প্রতি সন্ধ্যায় এখানে শুরু হয় ভীষণ বজ্রপাত। আর তা চলতে থাকে ভোর হওয়া পর্যন্ত।
বছরে গড়ে ২৬০ দিনই বজ্র-বিদ্যুতের ঝলকানি দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু ঠিক কি কারণে এখানে এক বজ্রপাত হয় এর সঠিক কোনো ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত দিতে পারেন নি বিজ্ঞানীরা।
Image Credit:
চীর বজ্রপাতের দেশ। Photo: wikipedia.org |
বছরে গড়ে ২৬০ দিনই বজ্র-বিদ্যুতের ঝলকানি দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু ঠিক কি কারণে এখানে এক বজ্রপাত হয় এর সঠিক কোনো ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত দিতে পারেন নি বিজ্ঞানীরা।
Image Credit:
Devil's Kettle
Blue Sulfur Flames
Lake Karachay
The Petrifying Well