শীতে ভালো থাকুক কর্মজীবী নারীরা



প্রকৃতির সাথে সাথে আদ্রতা হারাচ্ছে ত্বক। ছোটখাট হলওে সর্দিকাশির মতো অসুখ-বিসুখ সঙ্গ নেয়া শুরু করেছে। তাই এসময় শরীর ও ত্বকের জন্য নিতে হয় বাড়তি যত্ন।গৃহিনী বা বাড়িতে থাকা নারীরা সময়মতো নিজের যত্ন নিতে পারলওে কর্মজীবী নারীদের কথা একটু আলাদা। কেননা দিনের একটি বড় অংশ তারা অফিস ও রাস্তায় কাটান। তারপর বাসায় ফিরে ঝাপিয়ে পড়েন সংসারের নানা কাজে । তাই ঠিক সময় নিজের যত্ন নেয়ার মতো ফুরসৎ তাদের নেই বললেই চলে। কিন্তু শীতের রুক্ষতার থাবা কী এসব কিছু দেখে? তাইতো কর্মজীবী নারীদের জন্য চাই একটু বিশেষ যত্ন।



শীতে ভালো থাকুক কর্মজীবী নারীরা


শীতের দিনে ঠান্ডার অজুহাতে অনেকেই নিয়মিত গোসল করেন না। এটা একদম ঠিক নয়। সুস্থতার পূর্বকথা হচ্ছে নিয়মিত গোসল করা। তবে গোসলের জন্য দীর্ঘ সময় ব্যয় না করাই ভালো। আর গোসলের জন্য গরম পানরি বদলে ঠান্ডা বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারনে। গরম পানিতে নিয়মিত গোসল করলে ত্বকের ময়েশ্চারাইজার কমে যায়।

গোসলের পর ভালো ব্র্যান্ডের ময়েশ্চারাইজার বা বডি লোশন ব্যবহার করুন, আর রাতে ঘুমুতে যাবার আগে তো অবশ্যই। নিয়মিত ভালো লিপ বাম ব্যবহার করুন, এছাড়া হালকা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন, এমনকি লিপগ্লোসও।

অনেকে লিপ বাম ব্যবহারে তেমন একটা স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। সেক্ষেত্রে আপনি কোকো বাটার ব্যবহার করতে পারেন। এটি ন্যাচারাল লিপ বাম হিসেবে দারুন কাজ করে।

মুখ ধোয়ার সময় ফেসওয়াশ ব্যবহার না করাই ভালো। এট ত্বক শুষ্ক করে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে এক টেবিল চামচ মধুর সাথে আধা টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। এটি কাজ করে ভালো।

সপ্তাহে দুই তিন দিন এসেনসিয়াল ওয়েল দিয়ে বডি ম্যাসাজ করুন । এটি শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। শরীর ও মনে সতজে ভাব বজায় থাকে।

শীতে চুলের জন্য চাই বাড়তি যত্ন। কেননা এসময় স্কাল্প শুষ্ক হয়ে খুশকীর উপদ্রব হয়। তাই খুসকী চুলের জন্য চুল ধোয়ার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

এসময় ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করুন। যাদের ত্বক একটু ঝুলে পড়া তারা অবশ্যই ঝুলে পড়া রোধকারক ক্রীম ব্যবহার করুন।



শুষ্ক ত্বকের জন্য এক চা চামচ গ্লিসারিন, দুই চা চামচ লেবুর রস এবং গোলাপজল মিশিয়ে মুখ, গলা, ঘাড়, কনুই-এ লাগান। এভাবে সারা রাত রেখে সকালে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এটি খুব চমৎকার ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে আর ত্বকও রাখে নরম কোমল।

বাড়িতেই করতে পারেন স্পা। সেক্ষেত্রে এক কাপ নারকেল তেল,এক চা চামচ চন্দনের তেল, ভালোভাবে মিশিয়ে একটি কৌটায় রেখে ব্যবহার করতে পারেন। এটি গোসলে পর পুরো শরীরে ভালোভাবে লাগান।

শীতের এ সময়ে সাধারণত অনেকের চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায়। এমনকি কিছুটা কুচকেও যায়। সেক্ষেত্রে বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এরকম ভালো ব্র্যান্ডের ডার্ক রিমুভার ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। সইেসাথে আলু বা শশার টুকরো চোখে লাগেয়ে রাখতে পারেন কিছুক্ষণ। এতেও কালো দাগ দূর হয়।

যাই করুন না কেন ব্যালেন্স ডায়েট ও প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। সেইেসাথে খেতে হবে তাজা ফল ও সবজি। করতে হবে পরিমিত কায়িক শ্রম।

সব কিছুর পরও মাসে অন্তুত একবার ভালো কোনো বিউটি পার্লারে যেতে পারেন।

ব্যাগে রাখুন ছোট্ট একটি কিট বক্স। এতে লোশন, ভ্যাজলিন, লিপ বামসহ প্রয়োজনীয় কিছু কসমেটিকস রেখে দিন। প্রয়োজনে ব্যবহার করত পারবেন।

যারা এসি রুমে বসে কাজ করেন, তারা কিছুক্ষণ পর পর পানি পান করুন। সেইসাথে লাগান ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ লোশন।





তাহমিনা তাসির
Previous Post Next Post