এটা সত্য, অনেক পুরুষই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বা শরীরের নিয়মিত যত্ন নেওয়ার
ক্ষেত্রে উদাসীন। অনেকে মনে করেন নিয়মিত ত্বক বা চুলের যত্ন নেয়া নারীদের কাজ। কিন্তু
বাস্তবতা হলো, নারীদের তুলনায় পুরুষদেরই কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক বেশি যত্নবান হওয়া
প্রয়োজন। কারণ, পুরুষদেরই তুলনামূলকভাবে বেশি ঘরের বাইরে থাকতে হয়। আর রোদ-বৃষ্টিসহ
ধুলাবালি বা নানা ধরনের রোগ-জীবাণুর সরাসরি সংস্পর্শের ক্ষতিকর প্রভাব পুরুষদের ওপরই
বেশি পড়ে।
কর্মজীবী পুরুষদের টিপস; সচেতন হোন, হয়ে উঠুন আরো আত্মবিশ্বাসী!
চেষ্টা করুন ভোরে ঘুম থেকে উঠতে। এতে, শরীর ও মন যেমন ফুরফুরে থাকবে, তমেনি
সময়মতো অফিস বা কর্মক্ষেত্রে পৌঁছে কাজে মন দেয়াটা সহজ হবে। যারা সারাদিন অফিসে বা
কর্মক্ষেত্রে থাকেন তারা সকালে গোসল করে বের হতে পারেন। এর ফলে বাস্তবিকই সারাদিন সতেজ
ও প্রাণবন্ত থাকতে পারবেন।
অফিস থেকে ফিরে আবার গোসল করে নিতে পারেন। এর ফলে সারাদিনে শরীরে জমা ময়লা-ক্লান্তি
দুটিই দূর হবে, ঘুমটাও হবে অনেক ভালো। চেষ্টা করুন প্রতিদিন সাবান দিয়ে গোসল করতে।
বেশি রাত জাগার অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করুন। রাত জাগাটা স্বাস্থ্যের জন্য
বেশ ক্ষতিকর।
যারা গণপরিবহণে যাতায়াত করেন বা অনেক ঘুরাঘুরি করেন, গরমে তাদের ঘাম এবং
এর থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধ একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যায় ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
সুগন্ধী অর্থাৎ পারফিউম বা বডি স্প্রেও ব্যবহার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখুন অবশ্যই
তা যেনো খুব বেশি কড়া না হয়।
এক থেকে তিন দিন পরপর চুলে শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পু করার পর চুল শুকিয়ে
তাতে হেয়ার ক্রিম, জেল বা হার্বাল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
রোদের হাত থেকে রক্ষার জন্য সানস্ক্রিন বা সানস্ক্রিনসমৃদ্ধ জেন্টস ক্রিম
ব্যবহার করতে পারেন।
অনেকেরই সারা বছরই ঠোঁট ফাটার সমস্যা আছে, তারা লিপজেল সঙ্গে রাখুন।
সবসময় সঙ্গে রুমাল বা টিস্যু পেপার রাখুন। বাইরে চলার সময় মাথায় ক্যাপ ব্যবহার
করতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন সানগ্লাসও।
আটপৌরে ডেস্ক
Post a Comment