নতুন প্রজন্মের ৫টি বাহন যাদের ক্ষমতা অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে

পানি বা ভূমির যে কোনো প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলার জন্য বিশেষভাবে তৈরি মিনি ট্রাক অথবা ভবিষ্যত প্রজন্মের স্মার্ট মোটরয়েড, এই পর্বে আপনাদের জন্য থাকছে ভবিষ্যত প্রযুক্তির ৫টি গাড়ির খবর যা অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে।



নতুন প্রজন্মের ৫টি বাহন যাদের ক্ষমতা অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে !! 




রেনল্ট ফ্লোট
গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি রেনল্টের নকশা করা ভবিষ্যত প্রজন্মের গাড়ি এটি। যদিও দেখতে এটা ঠিক গাড়ির মতো নয় অনেকটা ভাসমান বুদ্বুদের মতো। ভবিষ্যতের গাড়ি নিয়ে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলো কোম্পানিটি। আর সবাইকে পেছনে ফেলে জয়ী হয় রেনল্ট ফ্লোটের ডিজাইন। তেলের পরিবর্তে এই গাড়িও চলবে বিদ্যুতে। ম্যাগনেটিক লেভিটেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই গাড়ি চাকায় ভর না দিয়ে রাস্তার ওপরে ভেসে চলবে। কোনো বাক নেয়া ছাড়াই এটি চলতে পারবে যে কোনো দিকে। মূলত একজনের বসার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে এই গাড়িটি তবে, চাইলে একাধিক পড একসাথে জুড়ে নেয়া যাবে খুব সহজেই। এবং এটি স্মার্টফোন দিয়ে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। 

ইয়ামাহা মোটরয়েড
জাপানের ইয়ামাহা কোম্পানির তৈরি ভবিষ্যত প্রজন্মের স্মার্ট ইলেকট্রিক বাইক ইয়ামাহা মোটরয়েড। তেলের পরিবর্তে বিদ্যুতে চালিত এই বাইকটি নিন্দেহে পরিবেশবান্ধব। বাইকটি দেখতেই শুধু ফিউচারিস্টিক না, এটি আক্ষরিক অর্থেই স্মার্ট। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এই বাইকটি চালককে শুধু সনাক্তই করতে পারবে তা নয়, চালকের শারিরিক অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করবে এটি। আর অটোমেটিক ব্যালেন্স কন্ট্রোল এবং চালক ছাড়াই চলতে পারার বিশেষ ক্ষমতা একে দিয়েছে বাড়তি মাত্রা। অর্থাত এই বাইকটি থেকে পড়ে যাওয়ারও আশংকা নেই।



মার্স রোভার
নাসার রিসার্চ সেন্টারে তৈরি হয়েছে আগামী প্রজন্মের এই গাড়ি এবং এটি তৈরি করতে সময় লেগেছিলো ৫ মাস। সাড়ে ৮ মিটার লম্বা এই গাড়িটির উচ্চতা ৩.৪ মিটার এবং চওড়ায় ৪ মিটার। মঙ্গল গ্রহের রুক্ষ প্রান্তরে চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়েছিলো এটি। অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় দিয়ে তৈর হওয়ার কারণে বিশালাকৃতির এই গাড়িটি অপেক্ষাকৃত হালকা মাত্র ২.৭ টন। পৃথিবীতে এটি সর্বোচ্চ ১১০ কিমি গতিতে চলতে পারলেও মার্স রোভারের নির্মাতারা জানিয়েছেন মঙ্গলে এর গতি ২৫ কিমির বেশি হবে না। গাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬টি ইউনিক শেইপের চাকা যেখানে টায়ারের পরিবর্তে অ্যালুমিনিয়ারের ওপর রাবার স্ট্রিপ লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে করে এটি বালিয়ারিতে চলাচলেও বিশেষ পারদর্শী। 

শিওর ফ্লাই
পরিচিত হোন আগামী দিনের ইলেকট্রিক ফ্লাইং ট্যাক্সি শিওর ফ্লাই এর সাথে। এটি আসলে একটি প্যাসেঞ্জার ড্রোন এবং এখনো এটি পরীক্ষামূলক পর্যায়েই রয়েছে। ২০০ হর্সপাওয়ার ক্ষমতা সস্পন্ন গ্যাসোলিন জেনারেটরে চালিত এই ড্রোন ১১২ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত উড়তে পারবে এবং ১৮০ কেজি ওজন বহন করতে পারবে। আর কোনো কারণে জেনারেটর ফেইল করলে বিকল্প হিসিবে রয়েছে লিথিয়াম ব্যাটারি যার সাহায্যে ড্রোনটি ৫ মিনিট পর্যন্ত ভেসে থাকতে পারবে। অবশ্য এই সময়ের মধ্যেই নিরাপদে মাটিতে নামিয়ে আনা যাবে ড্রোনটিকে। তবে এই ফ্লাইং ট্যাক্সির বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে, ড্রোনের কম্পিউটারে আপনার গন্তব্য ঠিক করে দেয়ার পর এটি সবচেয়ে দ্রুত ও নিরাপদ পথটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক করে নিতে পারবে।

সার্প এটিভি
জল এবং ডাঙ্গার বেশিরভাগ প্রতিবন্ধকতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর জন্য অ্যালেক্সেই গার্গাসিয়ান নামে রাশিয়ার একজন ডিজাইনার তৈরি সার্প এটিভি নামে এই মনস্টার মিনি ট্রাকটি। পানিতে এবং মাটিতে দুই জায়গাতেই স্বচ্ছন্দে চলাচল করতে পারে এই গাড়ি। আর এজন্য এতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশালাকৃতির ৪টি লো প্রেশার টায়ার যা বরফের ওপর দিয়ে চলাচলেও দারুন স্বচ্ছন্দ। আড়াই ফুট উচু প্রতিবন্ধকতা বা ৩৫ ডিগ্রি খাড়া ঢাল পাড় হওয়া কোনো ব্যাপারই নয় সার্প এটিভির জন্যআর কেবিনটিও তৈরি করা হয়েছে পানিনিরোধক করে। রাস্তায় সার্প এটিভি ৪৫ কিমির বেশি গতি তুলতে না পারলেও বনে জঙ্গলে, পাহাড়ে বা জলাশয়ে, এই গাড়ি যে কতটা নির্ভরযোগ্য হতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না নিশ্চয়ই।


Previous Post Next Post