শিশুর মস্তিষ্ক ও মনের বিকাশ ঘটাবে যে ৯ খাবার



শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সুষম খাদ্যের বিকল্প নেই। পাশাপাশি এমন কিছু খাবারও রয়েছে যা শিশুর মস্তিষ্ক ও মনের বিকাশ-এ বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত শিশুদের এসব খাবার খেতে না দিলই নয়।


 যে ৯ খাবার বিকাশ ঘটাবে শিশুর 'মস্তিষ্ক' 'মন'



শষ্য দানা

শষ্যদানা থেকে তৈরি রুটি বা সিরিয়াল শরীরে গ্লুকোজ সরবরাহ করে। মস্তিষ্কের জন্য যেটুকু শক্তি প্রয়োজন তা এখান থেকেই পাওয়া যায়। এতে রয়েছে ভিটামিন বি যা নার্ভাস সিস্টেমের জন্য বেশ উপকারী। তাই শিশুদের শষ্য দানার তৈরি খাবার প্রতিদিন খাওেয়ানো ভালো ।


রঙিন সবজি

মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সুস্থ রাখতে রঙিন সবজির তুলনা নেই। শিশুর প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রঙিন সবজি বিশেষ করে টমেটো, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, আলু, পালং শাক অবশ্যই রাখুন।


স্যামন মাছ

মস্তিষ্কের বিকাশে স্যামন মাছের জুড়ি নেই। বিদেশী এই মাছটি একসময়ে এদেশে পাওয়া যেত না। বর্তমানে বিভিন্ন সুপার শপেই পাওয়া যায় এটি। সামুদ্রিক এই মাছটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এর অন্যতম উৎস্য। যা মস্তিষ্কের বিকাশ ও কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফ্যাটি এসিড শিশুর মানসিক দক্ষতা বাড়াতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখে। পাউরুটির সাথে স্যামন বা টুনা মাছের স্যান্ডউইচ বানিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।


ওটস্

ওটস বা যবের তৈরি খাবার শক্তি বাড়াতে বেশ কার্যকরী। এটা মস্তিষ্কের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। এতে রয়েছে ফাইবার যা শিশুদের অন্য খাবার বা জাঙ্ক ফুডে আসক্তি হওয়া খেকে দূরে রাখে। এতে আরো আছে ভিটামিন ই , বি ও জিংক। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে আপেল, কলা, কাঠ বাদাম, ব্লুবেরীর চেয়ে ভালো কাজ দেয় ওটস্ মিল।




ডিম

ডিমের সাদা অংশ প্রোটিনের অন্যতম উৎস। কুসুমে থাকে ক্রলিন যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। প্রতিদিন শিশুদের আস্ত ডিম খাওয়ানোর অভ্যস গড়ে তুলুন।


বেরি

বেরি বা একজাতীয় আঙ্গুর স্মরণশক্তি বাড়াতে অনেক কাজে দেয়। এতে রয়েছে ভিটামিন সি ও অন্যান্য আ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আঙ্গুরের বীজে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাট যা মস্তিষ্ককের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন স্ট্রবেরী, চেরী, ব্লুবেরী ও ব্লাকবেরীর মতো ফলে রয়েছে প্রচুর পুস্টিগুণ।


পিনাট বাটার

পিনাট বা বাদাম এমনিতেই মস্তিষ্কের জন্য বেশ উপকারী। আর শিশুরা পিনাট বাটার বেশ পছন্দও করে। এতে রয়েছে ভিটামিন ই ও এন্টিঅক্সিডেন্ট যা নার্ভের ঝিল্লির প্রতিরক্ষায় কাজ করে। এতে আরো আছে থায়ামিন যা মস্তিষ্কের জন্য যেমন ভালো অন্যদিকে এর গ্লুকোজ শরীরে শক্তিরও যোগান দেয়।


শিম

শিমে রয়েছে প্রোটিন, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল। এটি হৃদপিণ্ড  ভালো রাখে। সেইসাথে এটি শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের কাজে বেশ সাহায্য করে। আর এতে রয়েছে প্রচুর শক্তি।


দুধ ও দই

ভিটামিন বি ব্রেইন টিস্যু, নিউরোট্র্যান্সমিটার এবং এনজাইমের কার্যকারিতা বাড়াতে বেশ জরুরি। লো ফ্যাট দুধ বা দইয়ে আছে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট যা মস্তিষ্কের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। তাই শিশুকে প্রতিদিন দুধ, দই বা দুধ জাতীয় যেকোন খাবার খেতে দিন।




তাহমিনা তাসির


0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post