গেরস্থালীর আরো ২৫ টিপস



জীবনকে সহজ করতে আরো কিছু টিপস থাকছে আপনাদের জন্য। এর আগে "গেরস্থালীর ২৫ টিপস! জীবনকে করুন আরো সহজ" শিরোনামে একটি লেখায় অসাধারণ ২৫টি টিপস দেয়া হয়েছিলো। এবার জেনে নিন-


গেরস্থালীর আরো ২৫ টিপস


১. কাঠের আসবাবপত্রের ময়লা দূর করতে ও ঝকঝকে রাখতে চা পাতা দিয়ে ফোটানো পানি ঠান্ডা করে পালিশ করতে পারেন।

২. পোড়ামাটির দ্রব্য পরিষ্কার রাখতে, ওগুলোর ওপর সাধারণ রঙের নেলপালিশ লাগান। রং ঝকঝকে থাকবে আর জিনিসটিও নোংরা হবে না।

৩. অলংকার বা গহনার তীক্ষ্ণ বা ধারালো প্রান্তে ন্যাচারাল কালার নেলপালিশ লাগান। এতে খোঁচা লেগে পোশাকের ক্ষতি হবে না।

৪. দীর্ঘদনি দরজা-জানালা বন্ধ থাকা বা অব্যবহৃত ঘর খুললে একটা ভ্যাপসা গন্ধ বের হয়। দু-তিনটা ম্যাচের কাঠি জ্বালান, কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘর থেকে গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

৫. ডিটারজেন্টের সাথে লেবুর রস ও এক চামচ ফিনাইল মিশিয়ে বাথরুমের টাইলস ঘষেঘষে পরিস্কার করুন। দেখবেন ঝকঝকে হয়ে উঠেছে।

৬. চামড়ার ব্যাগ বা স্যুটকেসের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এক টুকরো ফ্লানেল বা কম্বলের কাপড়ে পাতিলেবুর রস মাখিয়ে ঘষুন।

৭. এক ফোঁটা ভিনিগার দিয়ে চশমার কাঁচ ভালোভাবে পালিশ করুন, চশমার কাচ ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

৮. এক বালতি পানিতে আধা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। উলের পোশাক ধোওয়ার পর এই মিশ্রনে ডুবিয়ে নিয়ে শুকাতে দিন। এতে পোশাকের নরম ভাব বজায় থাকবে।

৯. কাঠের ওপর থেকে কলমের কালি দিয়ে লেখা বা দাগ তুলতে সিগারেটের ছাই খুব কার্যকর। পাতলা কাপড়ে সিগারেটের ছাই নিয়ে কাঠের ওপর ঘষে ঘষে খুব সহজেই দাগ তোলা যায়। এই কাজ কেরোসিন দিয়েও করা সম্ভব।

১০. শিশুকে গোসল কারনোর আগে বাথরুমের মেঝেতে তোয়ালে বিছিয়ে দিন। এতে বাচ্চা হড়কে যাবে না, আবার বসেও আরাম পাবে।

১১. স্টিলের পাত্রের স্টিকার তুলতে, স্টিকার লাগানো অংশের উল্টোপিঠটা গরম করে নিন। এরপর স্টিকার খুব সহজেই উঠে আসবে।

১২. ভালোভাবে মুখ বন্ধ করা শিশিতে কর্পূর ভরে যন্ত্রপাতির বাক্সে রেখে দিন। এতে যন্ত্রপাতিতে দীর্ঘদিনেও মরচে পড়বে না।

১৩. সেলোটেপের মুখ খুঁজে না পেলে ১০ মিনিটের জন্য ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। সেলোটেপের রিলটা খুলে আসবে।



১৪. যদি বোতলের ছিপি খুব শক্ত হয়ে আটকে যায়, তবে একটি রুমাল গরম পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ে নিয়ে বোতলের ছিপির নিচে জড়িয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পরেই ছিপিটি আলগা হয়ে আসবে।

১৫. অ্যাকোরিয়ামের পানি ফেলে না দিয়ে গাছের গোড়ায় দিন। এটা সার হিসেবে খুব ভাল কাজ করে।

১৬. কয়েক টুকরো কর্পূর আধাকাপ পানিতে ভিজিয়ে খাটের নিচে রেখে দিন। সব মশা পালাবে।

১৭. মেঝেতে লবন ছিটিয়ে নিয়ে পানি দিয়ে ভালোভাবে মুছে ফেলুন। পিঁপড়া, মাছির উপদ্রব কমে যাবে।

১৮. সোনা-রূপার গয়না টুথপেস্ট দিয়ে ঘষে নিন।পানি দেয়ার দরকার নেই। শুকনো কাপড় দিয়ে পেস্ট মুছে ফেলুন। দেখবেন গয়না আরো ঝকঝক করে উঠবে।

১৯. পানির সাথে লবন আর রিঠা দিয়ে তাতে রূপার গয়না পনেরো মিনিট ফোটালে রূপোর স্বাভাবিক রং ফিরে আসে।

২০. চাল ধোয়া পানিতে স্টিল ও কাঁচের বাসন কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। বাসন ঝকঝক করবে।

২১. রান্নার সময় হাতে হলুদের দাগ ধরে গেছে? আলুর খোসা ছাড়িয়ে হাতে ঘষে নিন। তারপর হাত ধুয়ে নিলে আর হলুদের দাগ থাকবে না।

২২. দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারে ফ্রিজের গায়ে বসে যাওয়া দাগ উঠাতে স্পঞ্জে টুথপেস্ট লাগিয়ে ভালোভাবে ঘষুন, দাগ উঠে যাবে।

২৩. জানালার কাঁচ, কাঠ বা স্টিলের টেবিলের দাগ উঠাতে ফ্লানেলের টুকরোতে গ্লিসারিন ভিজিয়ে দাগের অংশে ঘষুন। দাগ উঠে যাবে।

২৪. চকের গুঁড়োর সাথে পানি আর স্পিরিট বা কেরোসিন মিশিয়ে দাগ ধরা জানালা বা দরজার কাঁচের ওপর মাখুন। শুকিয়ে গেলে খবরের কাগজ দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে ফেলুন। দেখবেন কাঁচ ঝকঝক করছে।

২৫. এক বালতি পানিতে দুই টেবিল চামচ ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে নিন। এরপর ধুয়ে নেয়া গরম পোশাক বা সিল্কের কাপড় পানিতে ডুবিয়ে নিয়ে শুকাতে দিন। এতে পোশাক পোকায় কাটার ভয় থাকবে না। পোশাকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।





নুসরাত শাহপার তুবা


0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post