আপনি কি আসলে অবসাদগ্রস্ত? জেনে নিন অবসাদের কারণ



কেন আসে অবসাদ? ইচ্ছে করেই কি আসে? নাকি আসে ইচ্ছের বিরুদ্ধে? তবে, অবসাদগ্রস্ত হলে কি কি করা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করার আগে যেনে নেয়া ভালো, অবসাদের কারণ ও কিভাবে মানুষ অবসাদে আক্রান্ত হয়। তা হলে অবসাদের সাথে লড়াইটা হয়তো সহজ হতে পারে।


জেনে নিন আপনি আসলে অবসাদগ্রস্ত কি না 


মুডের হেরফের হতে পারে অবসাদের প্রধান কারণগুলোর একটি। এমনকি, অবসাদের প্রধান লক্ষণ হিসেবে নির্ধারন করা হয় এটিকে। বৃটেনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির গবেষকরা বলছেন, সাধারণত সকালের দিকে মনটা একটু খারাপ থাকতেই পারে। যা বেলা দুটো নাগাদ বদলে যায়। তাই, সকালের মন খারাপকে পাত্তা না দেয়াই ভালো।


আগ্রহের অভাব থেকে সৃষ্টি হয় অবসাদ। অবসাদের এমন পর্যায়ে ভালো লাগে না কোন কিছুই। এনেডোনিয়ানামে পরিচিত অবসাদের এই পর্যায়ে এক সময়ের ভালোলাগার বিষয়গুলো আর আনন্দ দেয় না। তাই, পছন্দের কাজ বার বার করা থেকে বিরত থাকা উচিত।


ক্ষুধামান্দ্য বা খাবার ইচ্ছে কমে যাওয়া অবসাদের লক্ষণ। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে হতে পারে উল্টোটাও। অবসাদের কারণে খাওয়া বেশি হয়ে যায়। নিয়মিত পরিমিত খাবার অভ্যাস অবসাদকে বাধা দেবে।


সঙ্গীবিমুখ হয়ে পড়া অর্থাৎ স্বামী-বা স্ত্রীর সঙ্গ ভালো না লাগা ডেকে আনতে পারে অবসাদ। একঘেঁয়েমি পরিহার এবং নতুন করে সম্পর্ককে আবিষ্কার করলে এধরনের অবসাদ সৃষ্টি হবে না।


আপনি ইনসমনিয়ায় ভুগছেন না তো? সেক্ষেত্রে অবসাদ আক্রান্ত হতে আর বেশি বাকি নেই। তাই, ঘুম না হওয়ার কারণগুলো খুঁজে বের করুন। ইনসমনিয়া বা ক্লান্তি অবসাদকে প্রশ্রয় দেয়।


যে কোনো ধরনের ব্যাথা বা আঘাত এবং সে কারণে দীর্ঘদিনের বিশ্রাম অবসাদগ্রস্ত করে তুলতে পারে যে কাউকে। এসব ক্ষেত্রে বিছানায় শুয়ে বা বসে দিন কাটাতে হলে বই পড়া, কার্টুন দেখা বা ভালো সিনেমা দেখা অভ্যাস করা যেতে পারে।


দুর্বল স্মৃতিশক্তি মানুষকে অবসাদগ্রস্ত করবে সেটাই স্বাভাবিক। সবকিছু ভুলে যাওয়ার কারনে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দেয়। যা থেকে সৃষ্টি হয় হতাশা ও অবসাদ।
  



ইশরাত জাহান স্টেলা



0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post