ওজন কমানোর চেষ্টা বা ধরে রাখা মানে এই নয়, শরীররে ওপর অত্যাচার চালানো।
স্বাভাবকি জীবনচর্চার মধ্যেই কিছু অভ্যাস আপনাকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
নিচে উল্লেখিত ৯টি অভ্যাসের মধ্যে অন্তত তিনটি অভ্যাস গড়ে তুলুন, থাকুন স্বাস্থ্যবান
ও সজীব।
ওজন কমানোর ৩টি অভ্যাসে বদলে ফেলুন জীবন
ওজন কমানোর ৯টি অভ্যাসই বিশেষজ্ঞ এবং পুষ্টিবিদদের মতামত ও পরামর্শ অনুযায়ী
তৈরি করা হয়েছে। চেষ্টা করুন সবগুলোই অনুসরণ করতে। অন্যথায় যে কোনো ৩টি
১. স্ন্যাকস তবে সময় বুঝে
তিন বেলা খাবারের বাইরে অতিরিক্ত কিছু না খাওয়াকে ওজন কমানোর কার্যকর পদ্ধতি
হিসেবে ধরা হয়। তবে, পুষ্টিবিদরা আজ জানেন, ক্ষুধার অনুভূতিকে চেপে রাখা ভালো কাজ নয়।
এটা আপনাকে ধীরে ধীরে জাংক ফুডে আসক্ত করে ফেলে। এর পরিবর্তে, স্বাস্থ্যকর প্র্রোটিনে
ভরপুর হালকা স্ন্যাক্স যেমন- এক টেবিল চামচ পিনাট বাটার বা যে কোনো ফল মুহুর্তেই আপনার
ক্ষুধার অনুভূতি দূর করে দিতে পারে, সেইসাথে পরের খাওয়া পর্যন্ত আপনাকে চাঙ্গা রাখতে
সাহায্য করে।
২. টেলিভিশন বন্ধ রাখুন
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, খাওয়ার সময় টিভি দেখলে অন্তত ৪০ ভাগ বেশি
খাওয়া হয়ে যায়। এমনকি, খাওয়ার সময় টেক্সট করা, গাড়ি চালানো বা এমন কোনো কাজ অতিরিক্ত
খেতে প্ররোচিত করে। যখন খাবেন, সে সময়টা শুধু খাওয়ার জন্যই রাখনু এমনকি যদি আপনাকে
একা একাও খেতে হয়।
৩. নিয়মিত ওজন মাপুন
প্রতিদিন ওজন মাপার চেষ্টা করুন। লক্ষ্য রাখুন আপনার ওজন স্থির আছে না ধারাবাহিকভাবে
বেড়ে চলেছে। ওজন বাড়তে খাকলে খাওয়া নিয়ন্ত্রণ বা শারীরীক শ্রমের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
৪. খাওয়ার আগ্রহ নিয়ন্ত্রণ করুন
কোনো কিছু বা জাংক ফুড খাওয়ার জন্য অস্থিরতা বাড়ছে? কোনো বন্ধু বা পরিচিতজনকে
ফোন করে খোঁজখবর নিতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, তীব্র খাওয়ার ইচ্ছা পাঁচ মিনিটের বেশি
স্থায়ী হয় না। তো, যে সময় ফোনে ব্যস্ত থাকবেন, সে সময়ের মধ্যে জাংক ফুড খাওয়ার আগ্রহ
অনেকটাই নষ্ট হয়ে যাবে।
৫. সকালের নাস্তা হোক পর্যাপ্ত ও সুষম
পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ভিটামিনের সমন্বয়ে সুষম সকালের নাস্তা
গ্রহণ করুন। ভুলেও সকালের নাস্তা বাদ দেয়ার কথা ভাববেন না। সেইসাথে, রক্তে চিনির পরিমাণ
স্বাভাবিক রাখতে খাবারে অণ্প পরিমাণ ফ্যাটও রাখুন। পর্যাপ্ত সকালের নাস্তা দুপুরে অতিরিক্ত
খাওয়ায় নিরুৎসাহিত করবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকালের নাস্তায় ডিম খুব কার্যকর।
৬. কোমল পানীয় থেকে সাবধান
খাওয়ার সাথে বা পরে এমনকি এমনিই কোমল পানীয় পান করছেন তো নিজের সর্বনাশ
করছেন। কোমল পানীয়তে থাকে প্রচুর ক্যালরি। সেইসাথে, এটি আপনাকে জাংক ফুডে আসক্ত করে
ফেলতে পারে। তাই, পরিমিত মাত্রায় কোমল পানীয় পান করুন।
৭. দিনে দু’বার ফল খান
ফলে কোনো ফ্যাট নেই আর এসব ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনে পরিপূর্ণ।
আর ফলে রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা আপনার পরিপাকক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে খুব কাজে
দেয়। যে কারণে, প্রতিদিন অন্তত দু’বার যে কোনো ফল খান।
৮. পর্যাপ্ত ঘুমান
গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমানোর আধঘণ্টা আগে বিছানায় যাওয়া ও ঘুমের আধঘণ্টা
পর বিছানা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে আপনার খাবার নির্বাচন ও গ্রহণে সাহায্য করে। আর পর্যাপ্ত
ঘুম বা বিশ্রাম জাংক ফুডে আসক্তি কমিয়ে দেয়।
৯. নিজেকে স্বাভাবিক কল্পনা করুন
যদি কখনো এমন হয়, খাবার নিয়ন্ত্রণ ও শারীরীক শ্রমে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন
বা প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পাচ্ছেন না, তখন হতাশ না হয়ে, এমন একটা ছবি কল্পনা করুন যেখানে
আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে আছে। এটা আপনাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে সামনের দিনগুলোর জন্য।
নুসরাত শাহপার তুবা
Post a Comment