রসুইঘরের যত্নআত্তি : জেনে নিন ১৩ টিপস


রসুইঘরের যত্নআত্তি নিয়ে চিন্তা করার আগে কল্পনা করুন বাড়ির প্রতিটি ঘর রাখছেন পরিচ্ছন্ন-পরিপাটি, অথচ পরিবারের সবার সুস্বাস্থ্য যে ঘরটির ওপর, সেই রান্নাঘরটিই কিনা পরে আছে অযত্ন-অবহেলায়? সুস্বাস্থ্য'র পাশাপাশি এ ঘরটিও কিন্তু বহন করে আপনার রুচির পরিচয়। আর তাই বাড়ি তৈরি বা ভাড়া নেওয়ার সময় দেখে নিতে হবে রান্নাঘরটি যেন বড় হয় এবং সর্বোপরি এ ঘরকে পরিষ্কার ও গুছিয়ে রাখাটাও জরুরি। কাজ শেষেই যদি একটু রান্নাঘরটা গোছানো যায় এবং সেটা যদি হয় পরিকল্পনা মতো, তাহলে রান্নাঘর পরিষ্কারের পাশাপাশি তা নান্দনিকও হয়ে উঠবে। জেনে নিন রসুইঘরের যত্নআত্তির ১৩ টিপস।



রসুইঘরের যত্নআত্তি : জেনে নিন ১৩ টিপস

  

১. রান্না শুরুর আগে অবশ্যই ভালভাবে হাত ধুয়ে নিন। মাছ, মাংস, ডিম-এগুলো নিয়ে কাজ করার পরও হাত ভাল করে ধোয়া দরকার।

২. দুর্গন্ধ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কমাতে রান্নাঘরের বিভিন্ন কোণায় লেবুর টুকরো, কিছু পুদিনা বা তুলসী পাতা অথবা নিমপাতা থেঁতলে রেখে দিন। খেয়াল রাখুন রান্নাঘরে যেন আলো বাতাস খেলে।

৩. প্রতিদিন বাজারের পর, প্রথমেই যেগুলো ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন, সেগুলো ফ্রিজে রেখে দিন আর যেগুলো কেটে ধুয়ে রাখতে হবে সেসব আলাদা করে ফেলুন।

৪. কিচেন ক্যাবিনেটের ভেতরে নানান রকমের জিনিস রাখা হয়। চেষ্টা করুন সবসময় কেবিনেট গুছিয়ে রাখতে। পুরো কেবিনেট মাসে একবার সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।

৫. রান্নার পর গ্যাসের চুলার ওপরের অংশে খাবারের কণা এবং তেল ছিটকে পড়ে ময়লা ও তেল চিটচিটে হয়ে উঠে। এ সমস্যা সমাধানে লবণ, লিকুইড সাবান ও কুসুম গরম পানিতে স্পঞ্জ বা ফোম ভিজিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

৬. আবর্জনা ফেলার জন্য রান্নাঘরে ঢাকনাওয়ালা ডাস্টবিন ব্যবহার করলেই ভালো। এতে দুর্গন্ধ ছড়াবে না।



৭. ফ্রিজের দুর্গন্ধ এড়াতে খোলা একপাশে একটি পাত্রে খাবার সোডা বা ভিনেগার অথবা এক টুকরা লেবু রেখে দিন। তাছাড়া মাসে এক বার সাবান ও পানি দিয়ে ফ্রিজের ভেতর ও বাহিরের অংশ পরিষ্কার করে নিতে ভুলবেন না।

৮. রান্নাঘরে টোস্টার, ব্লেন্ডার, ওভেন রাখলে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে ভুলবেন না, নয়তো তেল চিটচিটে হয়ে যাবে ক’দিনেই।

৯. রান্নাঘর পরিষ্কার রাখতে কিচেন হুড ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহারের পরই বাইরের অংশ প্রতিদিন সাবান-পানি দিয়ে মুছে ফেললে ভালো।

১০. চপিং বোর্ডে সামান্য লবণ ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করলেই দেখবেন নিমেষেই ঝকঝকে।

১১. সপ্তাহে অন্তত একদিন দেয়াল আর সিলিং এর ঝুল পরিষ্কার করতে পারলে ভাল।

১২. পানিতে ফিনাইল মিশিয়ে রান্নাঘরের মেঝে নিয়মিত পরিষ্কার করলে পোকামাকড়ের উপদ্রব কমবে অনেকটাই। এছাড়া কয়েকদিন পরপর সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে মেঝে পরিষ্কার রাখতে হবে।

১৩. রান্নাঘরের আসবাবপত্রসহ দরজা, জানালা পরিষ্কার রাখতে হবে। রান্নাঘরের অপ্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরিয়ে ফেলুন। দেখবেন অনেকটা ফাঁকা জায়গা মিলছে। কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।




নুসরাত শাহপার তুবা

0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post