সবচেয়ে রহস্যময় ও ভুতুড়ে ৫টি ছবি যার ব্যাখ্যা নেই বিজ্ঞানীদের কাছে !!


সবচেয়ে রহস্যময় ও ভুতুড়ে ৫টি ছবি যার ব্যাখ্যা নেই বিজ্ঞানীদের কাছে

বিভিন্ন সময় তোলা রহস্যময় কিছু ছবি নিয়ে আলোচনা বিতর্ক কম হয়নি। কিন্তু অনেক ছবি আছে যেগুলো দেখে মনে হতেই পারে, আসলেই কি তবে অতিপ্রাকৃতিক কিছুর অস্তিত্ব আছে পৃথিবীতে। এমন ৫টি রহস্যময় এবং ব্যাখ্যাতীত ছবি নিয়ে থাকছে এবারের পর্ব।


সবচেয়ে রহস্যময় ও ভুতুড়ে ৫টি ছবি নিয়ে দেখুন বাংলা তথ্যচিত্র-


সবচেয়ে রহস্যময় ও ভুতুড়ে ৫টি ছবি যার ব্যাখ্যা নেই বিজ্ঞানীদের কাছে !!  


টেরোডাকটিল

সবচেয়ে রহস্যময় ও ভুতুড়ে ৫টি ছবি যার ব্যাখ্যা নেই বিজ্ঞানীদের কাছে

১৮৬০ এর দশকে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময় তোলা এই ছবিটি নিয়ে এখনো বিতর্ক আছে। কনফেডারেট আর ইউনিয়নের মধ্যে তখন তুমুল যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধবিরতির ফাঁকে শিকারে গিয়ে এই প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীকে গুলি করে হত্যা করেছিলো ইউনিয়নের একদল সেনা। বিজ্ঞানীদের মতে লাখ লাখ বছর আগেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিলো পাখিসদৃশ উড়ন্ত সরীসৃপ টেরোডাকটিল। যে কারণে, সেসময় ছবিতে কারিগরি ফলানো হয়েছে বলে জানান গবেষকরা। আবার অনেকে মনে করেন, কোনোভাবে টিকে থাকা টেরোডাকটিলের শেষ সদস্যটিকেও হয়তো হত্যা করেছিলেন ওই সেনারা।

গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন

সবচেয়ে রহস্যময় ও ভুতুড়ে ৫টি ছবি যার ব্যাখ্যা নেই বিজ্ঞানীদের কাছে

আমেরিকার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ঘুরে দেখার মতোই একটি জায়গা। ১৯৮০’র দশকে লম্বা রাস্তা পাড়ি দিয়ে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন দেখতে যাওয়াটা স্বাভাবিক ছিলো সাধারণ মার্কিন পরিবারের জন্য। কিন্তু এই ছবিটি তোলার পর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন নিয়ে যেসব কল্পকথা প্রচলিত আছে তার মধ্যে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। ছবিটি তোলার সময় ছবির ব্যক্তি বা ফটোগ্রাফার, কেউ লক্ষ্য করেননি যে জঙ্গলের ভেতর থেকে একটি কিশোরের মুখ ক্যামেরার দিকেই তাকিয়ে আছে। ছবিটি ডেভলপ করা হলে এটা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু একটি কিশোর ওই জঙ্গলে কি কারণে এসেছিলো তা জানা যায়নি।




মেরি রিজারের মৃত্যু

সবচেয়ে রহস্যময় ও ভুতুড়ে ৫টি ছবি যার ব্যাখ্যা নেই বিজ্ঞানীদের কাছে

আধুনিক অপরাধ বিজ্ঞানে মেরি রিজারের মৃত্যু একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছিলো। ১৯৫১ সালে একটি অভূতপূর্ব ঘটনায় মৃত্যু হয় এই নারীর। পুলিশ যখন তার লাশ আবিষ্কার করে তখন তার শরীরের বলতে গেলে পুরোটাই পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিলো। শুধুমাত্র হাঁটু থেকে জুতোপড়া একটি পা ভস্মীভূত হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছিলো। আশ্চর্যের আরো বিষয় ছিলো যে, ঘরের আর কোনো কিছুতেই আগুনের ছোওয়া লাগেনি। শুধুমাত্র মেরি রিজারের শরীরটাই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিলো। এমন অদ্ভুত ঘটনার সামনে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে পুলিশ। পরবর্তী কয়েক বছরে এরকম মৃত্যুর আরো বেশ কিছু ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। বিজ্ঞানীদের মতে, কাপড়ে লাগা আগুন এবং শরীরের চর্বি দুইয়ে মিলে এমন ভস্মীভূত হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু আসলেই কি তাই?

গডার্ড স্কোয়াড্রনের ভূত

সবচেয়ে রহস্যময় ও ভুতুড়ে ৫টি ছবি যার ব্যাখ্যা নেই বিজ্ঞানীদের কাছে

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিন তোলা হয়েছিলো এই ছবিটি। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে একত্রিত হয়েছিলো গডার্ড স্কোয়াড্রনের সেনারা। এমনকি, ফটো তোলার জন্য হাজির হয়েছিলো মৃত এক সেনার আত্মাও। ছবির একদম ওপরের সারিতে বাম থেকে চতুর্থ সেনার মাথার পেছনে ভালো করে লক্ষ্য করলে আরেকটি মুখ দেখতে পাওয়া যায়। স্কোয়াড্রনের সদস্যরা ছবিটি দেখে তাকে ফ্রেডি জ্যাকসন বলে চিহ্নিত করেন। এই আবিষ্কার সবাইকে ভীষণভাবে রোমাঞ্চিত করে কারণ ছবিটি তোলার আগের দিনই যুদ্ধে নিহত হন ফ্রেডি জ্যাকসন।




ওয়াটার টাউনের ভূত

সবচেয়ে রহস্যময় ও ভুতুড়ে ৫টি ছবি যার ব্যাখ্যা নেই বিজ্ঞানীদের কাছে

১৯২৭ সালের ডিসেম্বরে এসএস ওয়াটারটাউন নামে এক মার্কিন জাহাজ পানামা খালের দিকে যাচ্ছলো। এসময় এক দুর্ঘটনায় দুই নাবিক জেমস কার্টনি এবং মাইকেল মিহান মারা যায়। জাহাজের রীতি অনুযায়ী তাদের দুজনকেই সমুদ্রে সমাহিত করা হয়। কিন্তু ঘটনা ঘটতে শুরু করে তার পরদিন থেকে যখন জাহাজের ক্রু’রা সমুদ্রের পানিতে ওই দুই নাবিকের ভুতুড়ে মুখ ভাসতে দেখে। মুখ দুটি জাহাজের সাথেই যেন ভেসে ভেসে চলছিলো। অতিরঞ্জিত কোনো ঘটনা ভেবে হয়তো সবাই এ ঘটনাকে একসময় ভুলে যেত। কিন্তু এক ক্রু’র তোলা একটি ছবি আজো সাক্ষী হয়ে আছে ওই অদ্ভুত ঘটনার। কিন্তু এই ছবিটি নিয়ে বিতর্কের কিন্তু শেষ হয়নি এখনো।

আপনার কি মনে হয় তা জানাতে অবশ্যই কমেন্ট করুন। ভাল লাগলে লাইক দিন এবং শেয়ার করুন। বাংলায় দুর্দান্ত সব ভিডিও দেখতে আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন- Funny Frog Creatives




0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post