বিভিন্ন প্রয়োজনে বাড়ছে ড্রোনের
ব্যবহার আর ভোক্তার কথা মাথায় রেখে বাজারে আসছে নতুন নতুন সব ড্রোন। এই পর্বে আপনারা জানবেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদে ৫টি ড্রোন সম্পর্কে।
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদে ৫টি ড্রোন যা আপনার চোখ ধাঁধিয়ে দিবে
জেটজ্যাট আল্ট্রা
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদে ড্রোনের একটি মোটা
গ্রুপের তৈরি জেটজ্যাট আল্ট্রা নামের এই ড্রোনটি। হাতের একটি স্পর্শে টেকঅফ এবং
অটো টেকঅফ বা ল্যান্ডিং প্রযুক্তি ছাড়াও স্থির হয়ে ভেসে থাকা এবং এইচডি মানের ছবি
তুলতে পারে এই ড্রোন। একটানা ৫ মিনিট পর্যন্ত উড়তে সক্ষম এই ড্রোন ১০০ ফুট পর্যন্ত
উচুতে উঠতে পারে। আর মাত্র ২০-৩০ মিনিটের চার্জেই উড়ার জন্য সম্পূর্ণ তৈরি হয় এই
ড্রোন। কন্ট্রোলার বা স্মার্টফোনে অ্যাপ ব্যবহার করে চালানো যাবে এই ড্রোন। ব্যবহার
করা যাবে ভিআর হেডসেটের সাথেও। আর ড্রোনটির দাম মাত্র ৪০ মার্কিন ডলার।
রেভেল ন্যানো কোয়াড
সহজেই হাতের তালুতে এটে যাওয়ার মতো
আরেকটি ড্রোন রেভেল ন্যানো কোয়াড। মাত্র ১২ গ্রাম ওজনের এই ড্রোনটি ৪টি রোটরে চলে
এবং এটি ৫০ মিটার পর্যন্ত উচুতে উঠতে পারে। যদিও একবার চার্জে মাত্র ৫ মিনিটের মতো
উড়ানো যাবে এটি। ড্রোনেই রয়েছে লিথিয়ামআয়ন ব্যাটারি যা ৪৫ মিনিটে ফুল চার্জড হয়। রয়েছে ছোট্ট একটি ক্যামেরা যা ৭২০ বাই ৪৮০ পিক্সেলে ভিডিও
রেকর্ড করতে পারে যা ড্রোনের ৪ জিবি মাইক্রোএসডি কার্ডে স্টোরড হয়। খুব সহজে টেক
অফ করা বা অটো মুডের মতো সুবিধা যুক্ত এই ক্ষুদে ড্রোনটির দাম ধরা হয়েছে মাত্র ৪৭
মার্কিন ডলার।
স্কাই পিকো
মাত্র ৭ গ্রাম ওজনের এই ড্রোনটিকে
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদে কোয়াডকপ্টার বললেও অত্যুক্তি হবে না। স্কাই পিকোতে ব্যবহার
করা হয়েছে রেডি টু ফ্লাই প্রযুক্তি যাতে করে এই ড্রোনটি ওড়ানো আরো সহজ হয়ে উঠেছে। রাতে
ওড়ানোর জন্য এলইডি লাইট যুক্ত এই ড্রোন একবার চার্জে ৭ থেকে ৮ মিনিট পর্যন্ত ওড়ানো
যাবে আর ৩০ মিনিটেই ব্যাটারি ফুল চার্জড হয়ে যাবে। ৩টি ফ্লাইং মুডে চালানো যাবে এই
ড্রোন এবং দেখানো যাবে নানা ধরনের অ্যারোবেটিক স্টান্ট। ড্রোনটির দাম মাত্র ৩৩
মার্কিন ডলার।
অ্যারিক্স ওয়ালেট ড্রোন
নাম শুনেই বুঝতে পারছেন সহজে পকেটে
বহনযোগ্য করে তৈরি করা হয়েছে এই ড্রোনটি। আর বিশ্বের প্রথম কন্ট্রোলারের মধ্যেই
ড্রোন ডক করা এবং চার্জের সুবিধা পাওয়া যাবে ওয়ালেট ড্রোনে অর্থাত ক্যাবল, চার্জিং
ইত্যাদির ঝামেলা ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে এই ড্রোনটি। রেডি টু ফ্লাই প্রযুক্তি এবং
তটি ফ্লাইট মুডে ড্রোনটি ৫-৭ মিনিট পর্যন্ত ওড়ানো যাবে আর ব্যাটির ফুল চার্জড হতে
সময় নিবে মাত্র ২০ মিনিট। রাতে ওড়ানোর জন্য রয়েছে এলইডি লাইট। ড্রোনটির দাম ধরা
হয়েছে মাত্র ৪৫ মার্কিন ডলার।
রোবো বি’স
মৌমাছির মতো আকৃতির ছোট্টো এই
ড্রোনটি যদিও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়নি, কিন্তু ড্রোন
প্রযুক্তি যে কতটা এগিয়ে যাচ্ছে তা এই ক্ষুদে ক্ষুদে আনম্যানড অ্যারিয়াল
ভেহিকলগুলো দেখলে খানিকটা বোঝা যায়। এগুলোর উদ্দেশ্য মূলত কৃত্রিমভাবে পরাগায়ন
ঘটানো। রোবো বি’স যেমন দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে তেমনি ক্যামেরা এবং সেন্সরের
সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবেও এগুলো ফুল থেকে ফুলে ঘুরে ঘুরে উদ্ভিদের পরাগায়ণ
প্রকৃয়ায় সাহায্য করবে।