শীতে সুস্থ থাকুন প্রতিদিন, এটা আপনি চাইতেই পারেন। কিন্তু মাস দুয়েক বা
আর একটু বেশি সময়ের জন্য শীতের প্রকোপ আমাদের যেন একটু কোনঠাসা করে দেয়। আর এ সময়টায়
একটু অনিয়ম হলেই হয়ে গেল! অসুস্থ হয়ে পড়তে সময় লাগবে না। তাই অল্প দিন হলেও শীতের এই
সময়টায় সচেতন থাকাটা বেশ জরুরি। আর এজন্য চাই সঠিক খাদ্যাভাস। বাজারে নানা ধরণের শাক-সবজি
ও দেশিয় ফল যা পাওয়া যায়, সে সবই কিন্তু পুরো শীতকাল আপনাকে রাখতে পারে সুরক্ষিত।
শীতে সুস্থ থাকুন, প্রতিদিন খান এই খাবারগুলো
অন্যান্য খাবারের সাথে এই খাবারগুলোর কোনো একটি বা কয়েকটি প্রতিদিন খাওয়ার
চেষ্টা করুন। তবে ক্যালরির বিষয়টিও লক্ষ্য রাখুন।
আপেল
প্রবাদ আছে দিনে একটি আপেল খাও ডাক্তারকে এড়িয়ে চলো। আপেল হার্টের জন্য
অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া কোলন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং ফুসফুসের ক্যান্সার
প্রতিরোধক। বাজারে লাল ও সবুজ দুই ধরণেরই আপেল পাওয়া যায়। দিনের মধ্যভাতে একটি আস্ত
আপেল খেতে পারেন।
কমলা
সারা বছর কমলা পাওয়া গেলেও এটি সাধারণত শীতকালীণ ফল। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন
ধরণের কমলা পাওয়া যায় বাজারে। ভিটামিন 'সি' সমৃদ্ধ কমলা আস্তও যেমন খেতে পারেন তেমনি
জুস করেও খাওয়া যেতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা ফল আস্ত খাওয়ার পরামর্শ দেন। কমলায় রয়েছে পটাসিয়াম ,ফ্লোরেট, মিনারেল এবং ফাইবার।
এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সর্দি কাশির মতো অসুখগুলো থেকে আপনাকে সুরক্ষিত
রাখবে।
বাদাম ও ড্রাই ফুড
বেশিরভাগ বাদামে সিলিনিয়াম থাকায় এটি বিষন্নতা ও মানসিক স্বাস্থ সুরক্ষায়
বেশ কার্যকর। শুকনো ফলে তাজা ফলের চেয়ে বেশি পুষ্টি থাকে। তাই শীতের এসময়টায় বেশি করে
শুকনা ফল খাওয়া ভালো।
ডার্ক চকলেট
চকলেট খেলে মন ভালো হয়ে যায়। এতে চিনি থাকার কারণে এটা শরীরকেও উষ্ণ রাখে।
তবে, অন্যান্য চকলেটের চেয়ে ডার্ক চকলেট ভালো। বছরের অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে শীতের
এ সময়টায় ডার্ক চকলেট খেতে পারেন অনায়াসেই।
পালং শাক ও পীস
শীতকালে এমনিতেই অনেক শাক-সবজি বাজারে পাওয়া যায়। এসব শাকের মধ্যে পালং
শাক ও গ্রীনপিস অনেক বেশি পুষ্টিকর। এতে আছে উচ্চমাত্রার আয়রন যা রক্তশূণ্যতা প্রতিরোধ
করে।
গাজর
গাজরে আছে ভিটামিন বি, সি, ডি, ই এবং কে। এটি উচ্চমাত্রার ফাইবার, মিনারেল
ও এন্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এর শেকড় হজম সমস্যার সমাধান করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এমনি
টনসিলের মতো সমস্যাও দূর করে।
মিষ্টি আলু
ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু পুষ্টিকর খাবারগুলোর একটি। শুধু
তাই নয়, এটি ভিটামিন 'এ' ও 'সি' তে ভরপুর। এতে আরো আছে ম্যাঙ্গানিজ ও কপার। তাই প্রতিদিনের
খাদ্য তালিকায় মিষ্টি আলু রাখতে পারেন।
সরিষা পাতা ও মেথি
সরিষা পাতা ঠান্ডা-কাশির মতো ছোঁয়াচে রোগ প্রতিরোধে বেশ সহায়ক। এতে রয়েছে
এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেল। শীতে প্রতিদিন সরিষা বাটা বা তরকারিতে সরিষা দিলে
বেশ উপকার পাবেন। আর মেথিতেও রয়েছে নানা পুষ্টিগুন। এটি আপনার কলোস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে
রাখতে সাহায্য করে।
তাহমিনা তাসির
Post a Comment